বারবার হাতির হানা , ফসলের ক্ষতি : আতঙ্কিত একাধিক এলাকার বাসিন্দা

17th August 2020 10:21 am বাঁকুড়া
বারবার হাতির হানা , ফসলের ক্ষতি : আতঙ্কিত একাধিক এলাকার বাসিন্দা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  একের পর এক হাতির হানা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। দিশেহারা বাঁকুড়ার বৃন্দাবনপুর ও সাগরাকাটা গ্রামের মানুষ ।
গ্রামের পাশের জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে দুটি হাতি।  দিনের বেলায় জঙ্গলে থাকলেও সন্ধ্যে নামতেই হাতি দুটি খাবারের খোঁজে প্রায় প্রতিদিন নিয়ম করে হানা দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে।  বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান।  উদাসীনতার অভিযোগ বন দফতরের বিরুদ্ধে। ঘটনা বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের বৃন্দাবনপুর ও সাগরাকাটা গ্রামে। 

বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের বৃন্দাবনপুর ও সাগরাকাটা গ্রামে হাতির হানা নতুন ঘটনা নয়।  গত কয়েক বছর ধরেই লাগাতার ভাবে হাতির হানার শিকার এই দুই গ্রামের মানুষ।  চলতি সপ্তাহে সেই হাতির উৎপাত সীমা ছাড়িয়েছে। পরপর হাতির হানার ঘটনা ঘটছে ওই দুটি গ্রামে।  দিন দুই আগে সাগরাকাটা গ্রামে হানা দিয়ে একটি দোকান ঘর ভেঙে দেয় দুটি হাতি।  ফের গতকাল রাতে দুটি হাতি হানা দেয় বৃন্দাবনপুর গ্রামে।  বন দফতরের বিট অফিস লাগোয়া একের পর এক তিনটি দোকানের দরজা ভেঙে দেয় হাতি দুটি।  দোকানে থাকা জিনিসপত্র খেয়ে ও নষ্ট করে চম্পট দেয় হাতি দুটি।  যাওয়ার পথে গ্রামের একটি আইসিডিএস কেন্দ্র ও লাগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হানা দেয় হাতি দুটি।  দরজা ভেঙে মিড ডে মিলের মজুত থাকা চাল খেয়ে চম্পট দেয় হাতি দুটি। বন দফতরের উদাসীনতার কারনেই দিনের পর দিন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে চলেছে এই দাবি তুলে বন দফতরের বৃন্দাবনপুর বিট অফিসারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। বন দফতরের দাবি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তাঁদের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।